মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় ও নফসের ধোঁকায় পড়ে পাপে জড়িয়ে পড়ে। কোনো পাপ হয়ে গেলে মুমিনের জন্য ভেঙে পড়ার কারণ নেই, এতেও রয়েছে পুণ্য অর্জনের সুযোগ। হজরত আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’
অর্থাৎ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো অংশীদার নেই; তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা; তিনিই সব বিষয়ের ওপর শক্তিধর’-যে ব্যক্তি এ দোয়া প্রতিদিনে ১০০ বার পাঠ করে তার আমলনামায় ১০ জন গোলামমুক্ত করার সওয়াব অর্জন হয়, তার আমলনামায় ১০০ নেকি লেখা হয় এবং তার হতে ১০০ পাপ মিটিয়ে দেওয়া হয়। আর তা ওইদিন বিকাল পর্যন্ত শয়তান (তার কুমন্ত্রণা) হতে তার জন্য রক্ষাকারী হয়ে যায়।
সে দিন সে যা পুণ্য অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশি পুণ্যবান কেউ হবে না। তবে কেউ তার চেয়ে বেশি আমল করলে তার কথা আলাদা। আর যে লোক দিনে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’, অর্থাৎ, ‘আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি’ পাঠ করবে, তার সব পাপ মিটিয়ে দেওয়া হবে, যদি ও তা সমুদ্রের ফেনার সম পরিমাণ হয়।’ (মুসলিম : ৬৭৩৫)